বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেশীয় হস্তশিল্পগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

দেশীয় হস্তশিল্পগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

পজিটিভ বিডি নিউজ ২৪ডট কম  (ঢাকা): বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, দেশীয় হস্তশিল্প পণ্যসমূহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার জন্য সরকার বিদেশে মেলা আয়োজনের পাশাপাশি বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বুধবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত ত্রৈমাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় তিনি বলেন,‘কেবল রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের জন্য নয়, বাঙ্গালীর শিল্প-সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য পয়লা বৈশাখে বিদেশে মেলার আয়োজন করা হবে। এছাড়া বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি নেওয়া হবে, যাতে বিদেশে হস্তশিল্পকে তুলে ধরতে পারি। এজন্য ২৩ দেশে আমাদের যেসকল কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রয়েছেন, তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
রাজধানীর মতিঝিল চেম্বার ভবনে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এমসিসিআই সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এমসিসিআই সহসভাপতি সিমিন রহমান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী, এমসিসিআই জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ করীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হস্তশিল্প বা চামড়া নিয়ে যারা কাজ করে, সেক্ষেত্রে আমরা এবার দুটো বিষয় যুক্ত করতে চাই। যারা হস্তশিল্পের কারিগর তাদেরকে আমরা স্বীকৃতি দিতে চাই এবং পণ্যের উৎপাদন জায়গাকে (জিআই) স্বীকৃতি দিতে চাই।
তিনি বলেন,‘যারা রুটিরুজির জন্য হস্তশিল্প নিয়ে কাজ করছে, তাদেরকে যদি শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে না পারি, তাহলে হয় না। আমরা তাই কারিগর এবং পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ উল্লেখ্য, এবছর হস্তশিল্পকে বর্ষ পণ্য ঘোষণা করেছে সরকার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে বাজার ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আসবে, যা আগামী মাস থেকে দৃশ্যমান হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সব মন্ত্রণালয়কে এক জায়গায় এনে বাজার ব্যবস্থাপনা করছি। আগামী ১ মাসে এর পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে। ধীরে ধীরে আমরা সব কিছুর দাম নির্ধারণ করে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, আমি কেবল অভিযান চালিয়ে বাজার ঠিক করার পক্ষে নয়। পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি করে দাম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে আমি।
আগামী মার্চ থেকে চালের বস্তার গায়ে দাম এবং ধানের নাম সব বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পহেলা মার্চ থেকে প্রথমবারের মত চালের বস্তায় দাম লাগানো থাকবে। কন জাতের ধান সব বিস্তারিত থাকবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে কাজ করছে। সরকার সবার জন্য একটি সহজ বাজার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার প্রতি মাসে টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারের নিকট ৫টি নিত্যপণ্য বিক্রয় করছে। আগামী রমজান মাসে এই পণ্যগুলো দুইবার করে দেওয়া হবে। টিসিবির মাধ্যমে কিছু পণ্য রপ্তানি করা যায় কি-না সেটাও ভাবা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আহসানুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাজার নির্ভর করে যোগান ও চাহিদার ওপর। অনেক সময় ভরা মৌসুমেও কৃষকরা পণ্যের মূল্য পায় না। এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করব টিসিবির মাধ্যমে। ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ নতুন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট  পণ্যকে উপজেলা, জেলা এবং সেখান থেকে ঢাকায় নিয়ে আসবো। এছাড়া এসব পণ্যের বিক্রয় ব্যবস্থাপনায় ই-কমার্সকে যুক্ত করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন এর মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান ব্যবসা সহজীকরণ ও ব্যবসার খরচ কমানোর জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা একটি ভাল পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। তিনি আগামী অর্থবছরের জন্য ব্যবসাবান্ধব বাজেট এবং যুগোপযোগী কোম্পানি আইন প্রণয়নের দাবি জানান।

CATEGORIES
Share This

COMMENTS