সোমবার, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন

ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন

পজিটিভ বিডি নিউজ ২৪ডট কম  (ঢাকা): শ্রমিককর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী . মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে এই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান . মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, এডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, এডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিককর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিককর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম
বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশের মধ্যে এডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্থান্তরিত হয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ হাজার ৭৮০ টাকা চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং এডভোকেটসহ সংশ্লিষ্টরা সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালজালিয়াতির আশ্রয়ে আত্মসাৎ করেছেন একই সঙ্গে অর্থ স্থানান্তর রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তারা যা দন্ডবিধি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর . মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর () () ধারায় কমিশন থেকে চার্জশিট প্রদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে
গত ৩০মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিককর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী . মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন পরে অভিযোগপত্রে শ্রমিককর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসানকে অভিযুক্ত করা হয়
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান . মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয় গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল
গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে মে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টেও মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়
পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয় অন্যদিকে, ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচবাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয় কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামানের ডাচবাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে কোটি টাকা, সিবিএ নেতা মাইনুল ইসলামের হিসাবে কোটি টাকা সিবিএ নেতা ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচবাংলা ব্যাংক মিরপুর শাখার হিসাবে কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়
একইভাবে এডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে কোটি টাকা দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে কোটি টাকা এবং এড. জাফরুল হাসান শরীফ এড. মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না
দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, এডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্থান্তরিত হয়েছে মাত্র কোটি টাকা বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়াতায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং এডভোকেটসহ সংশ্লিষ্টরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে আত্মসাৎ করেছেন যা দন্ডবিধি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে

CATEGORIES
Share This

COMMENTS