মঙ্গলবার, ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্যাংকক ঢাকার সাথে আরও সহযোগিতায় আগ্রহী : দূত

ব্যাংকক ঢাকার সাথে আরও সহযোগিতায় আগ্রহী : দূত

পজিটিভ বিডি ২৪ডট নিউজ (ঢাকা): বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর বলেছেন, ব্যাংকক দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় ক্ষেত্রেই নানাভাবে সহযোগিতা করতে ঢাকার সাথে আরও সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী। মঙ্গলবার রাতে থাইল্যান্ড রাজ্যের জাতীয় দিবস উপলক্ষে ঢাকায়  থাই দূতাবাসে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মাকাওয়াদি সুমিতমোর বলেন, দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকভাবে আরও সহযোগিতার জন্য সামনে অনেক সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রদূত আরও কয়েকটি অবকাঠামো ও সংযোগ উদ্যোগে থাইল্যান্ডের অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্তমানে দেশ দুটির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম ও রণং সমুদ্রবন্দরের মধ্যে সরাসরি উপকূলীয় জাহাজ চলাচলের কথা উল্লেখ করেছেন। এতে সময় সাশ্রয় হবে, সরবরাহ খরচ কমবে, বঙ্গোপসাগরকে আন্দামান উপকূলের সাথে যুক্ত করবে আর এভাবে উভয় পক্ষের ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা বাড়বে। থাই রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।
মাকাওয়াদি সুমিতমোর বলেন, এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে- মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করা এবং অদূর ভবিষ্যতে বর্তমান বাণিজ্যের পরিমাণ ১.২ বিলিয়ন থেকে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
প্রতি ৫ ডিসেম্বর, থাইল্যান্ডের সকল নাগরিক প্রয়াত থাই রাজাকে স্মরণ করে- যিনি থাই জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য তার রাজত্বের ৭০ বছর উৎসর্গ করেছিলেন। মার্চ মাসে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী সচিব তৃতীয় দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেন।
সুমিতমোর বলেন, ‘বিমান পরিষেবা চুক্তিতে কূটনৈতিক নোটের বিনিময় একটি বাস্তব সাফল্য- যা বাণিজ্যিক ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি ও সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে সপ্তাহে ৩০টিরও বেশি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে। থাইল্যান্ডে ভ্রমণে আসা দক্ষিণ এশীয় পর্যটকদের মধ্যে বাংলাদেশীদের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।’
থাই বেসরকারি খাত ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশে মূলত কৃষি-ব্যবসা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘থাইল্যান্ড গর্বিত যে একটি থাই কোম্পানি ঢাকা মেট্রো রেল এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যথাক্রমে ডিসেম্বর ২০২২ এবং সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে উদ্বোধনে অংশ নিয়েছিল।’
তিনি রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রচেষ্টার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, বাস্তুচ্যুতদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে থাইল্যান্ড বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
এ সময় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ঢাকাস্থ কূটনীতিক ও সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।

CATEGORIES
Share This

COMMENTS