শুক্রবার, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আইএমও নির্বাহী পরিষদে জয়লাভ বিজয়ের মাসে আরেকটি বড় অর্জন : নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আইএমও নির্বাহী পরিষদে জয়লাভ বিজয়ের মাসে আরেকটি বড় অর্জন : নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

পজিটিভ বিডি ২৪ডট নিউজ (ঢাকা): নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) নির্বাহী পরিষদে জয়লাভ বিজয়ের মাসে আরেকটি বড় অর্জন। এই অর্জন বাংলাদেশের বৈশ্বিক মেরিটাইম সেক্টর এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সমর্থনের প্রমাণ।
আজ রোববার নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সব তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় নৌ সচিব মো. মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এ বছর জুনে আমরা হংকং কনভেনশন অনুসমর্থন করি, এতে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম মানদন্ড বজায় রাখতে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গিকার প্রতিফলিত হয়েছে, যা এই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই নির্বাচন মেরিটাইম সেক্টরকে সুগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং সংগঠিত করবে; যার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ পরিচালনা এবং জাহাজ পুনর্ব্যবহার সেক্টরের দক্ষতা বৃদ্ধি করে বিদেশে খ্যাতি অর্জন করবে। তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিমুক্ত মানুষের পক্ষে বিশ^ব্যাপি অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করেছে আইওএম এবং জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থা। এটিও আমাদের অনেক বড় অর্জন। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) ক্যাটাগরি-সি কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত বিশেষায়িত এই এজেন্সির ৩৩-তম অধিবেশনে আইএমও-কনভেনশন ১৬ ও ১৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৩টি ক্যাটাগরিতে কাউন্সিল সদস্য পদে গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ সালের জন্য ক্যাটাগরি ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ তে ৪০ সদস্যের নতুন আইএমও কাউন্সিল সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, গত ২৭ নভেম্বর আইএমও’র চলতি ৩৩তম অ্যাসেম্বলির প্রথম সহ-সভাপতি মনোনীত হয়েছেন বৃটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং আইএমও-তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাঈদা মুনা তসনিম। এতে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন আইএমও-তে নিযুক্ত সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি যুবরাজ খালিদ বিন বান্দার আল সৌদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাটাগরি ‘এ’-তে আন্তর্জাতিক শিপিং পরিসেবা প্রদানে সর্বাধিক আগ্রহী ১০টি দেশ নির্বাচিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রীস, ইতালি, জাপান, চীন, নরওয়ে, পানামা, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও লাইবেরিয়া।
ক্যাটাগরি ‘বি’তে আন্তর্জাতিক সমুদ্রবাহিত বাণিজ্যে সর্বাধিক আগ্রহী এমন ১০টি নির্বাচিত দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রাজিল, স্পেন, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, জার্মানি ও সোমালিয়া।
ক্যাটাগরি ‘এ’ ও ‘বি’-তে নির্বাচিত নয় অথচ যাদের সামুদ্রিক পরিবহন বা নেভিগেশনে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে এবং যাদের কাউন্সিলে নির্বাচন বিশ্বের সব প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে এমন ২০টি দেশ ক্যাটাগরি-‘সি’তে নির্বাচিত হয়েছে। কাউন্সিল নির্বাচনে ‘সি’ ক্যাটাগরি সদস্য নির্বাচনে মোট ২৫টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ১৬৮টি বৈধ ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৮টি ভোট পেয়ে ১৬তম হয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে জয়লাভ করা ২০টি দেশের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর, মালটা, সৌদি আরব, তুরস্ক, মিশর, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, চিলি, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাহামা, সাইপ্রাস, মরোক্কো, ডেনমার্ক, কাতার, বাংলাদেশ, কেনিয়া, পেরু, ফিনল্যান্ড ও জ্যামাইকা।
উল্লেখ্য, আইএমও-জাতিসংঘের ১৭৫টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং জাহাজ দ্বারা সামুদ্রিক ও বায়ুমন্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে থাকে। এর প্রধান কার্যালয় লন্ডনে অবস্থিত। বাংলাদেশ ১৯৮১ সালে আইএমও এর সদস্য পদ লাভ করে এবং ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ‘সি’ ক্যাটাগরি এবং ২০০১ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ক্যাটাগরি ‘বি’ তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে।

CATEGORIES
Share This

COMMENTS