রবিবার, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শেখ হাসিনা ও মোদি যৌথভাবে আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন

শেখ হাসিনা ও মোদি যৌথভাবে আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন

পজিটিভ বিডি ২৪ডট নিউজ (ঢাকা): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ যৌথভাবে ১২ দশমিক ২৪ কি.মি. আখাউড়াআগরতলা আন্ত:সীমান্ত রেল সংযোগের উদ্বোধন করেছেন এতে ব্যবসাবাণিজ্য, পর্যটন এবং জনগণের সাথে জনগণের সংযোগ বাড়াবে
তাঁরা ঢাকা নয়াদিল্লি থেকে যৌথভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এই রেল সংযোগের উদ্বোধন করেন
একই অনুষ্ঠানে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ভারতের সহায়তার আরও ুটি উন্নয়ন প্রকল্প খুলনামংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট উদ্বোধন করেন
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী . মানিক সাহা
১২.২৪ কিলোমিটার আখাউড়াআগরতলা ক্রসবর্ডার রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাংলাদেশে .৭৮ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন এবং .৪৬ কিলোমিটার ত্রিপুরায় ৩৯২.৫২ কোটি টাকা ভারতের অনুদান সহায়তায় বাস্তবায়িত হয়েছে
সোমবার,এই রুটে ট্রায়াল রান হয়েছিল,যেখানে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী ট্রেন চলে অন্যদিকে যাত্রীবাহী ট্রেনের ট্রায়াল রান শিগশিরই অনুষ্ঠিত হবে বলেও সূত্র জানিয়েছে
খুলনামংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারতের রেয়াতি লাইন অফ ক্রেডিট দিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় এলওসি থেকে ৬৯.১৮ শতাংশ অর্থায়ন)
প্রায় ৬৪. কিলোমিটার রেললাইনের নির্মাণ কাজ ,২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে যা মোংলা বন্দর সহ দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের জন্য ব্যবসাবাণিজ্যে নতুন সুযোগের সূচনা করবে
রেল সংযোগ চালু হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়েছে
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট ভারতীয় কনসেশনাল ফিনান্সিং স্কিম লোনের অধীনে নির্মাণ হচ্ছে
বিআইএফপিসিএল সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং  ভারতের এনটিপিসিলি যৌথভাবে এই কোম্পানি গঠন করেছে দুই দেশের দুই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এই কোম্পানির সমান অংশীদার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে উভয়ের মধ্যে ২০১২ সালের ৩০ আগষ্ট বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিঃ এর মধ্যে চুক্তি হয় এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২শকোটি ডলার এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়
প্লান্টটি বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ১ম ইউনিট ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীগণ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন এবং আজ ইউনিট উদ্বোধন করা হলো

CATEGORIES
Share This

COMMENTS