মঙ্গলবার, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিরামপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে খালাদের হাতে ভাগিনা কোবাদ নিহত : আটক-৬

বিরামপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে খালাদের হাতে ভাগিনা কোবাদ নিহত : আটক-৬

স্টাফ রিপোর্টার :   দিনাজপুরের বিরামপুরে ২৬ অক্টোবর দুপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে আপন ভাগিনা কোবাদ হোসেন(৬০) কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যা করেছে তিন খালা ও খালাত ভাই-বোনেরা। বিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ পূর্বক ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছেন, তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই এরশাদ মিয়া।
নিহত কোবাদ হোসেন বিরামপুর করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের পূণ্য সরবরাহকারী ভ্যান চালক হিসেবে কাজ করতেন। সে শহরের পূর্বপাড়া এলাকার মৃত: কলিমুদ্দীনের ছেলে।
নিহত কোবাদ হোসেনের ছেলে শাহিনুর ইসলাম(৩০) জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে আমার বাবা বাড়িতে রাজ মিস্ত্রিদের সাথে বাড়ির কাজে সহযোগিতা করছিলো। এ সময় বসত বাড়ির জমিকে কেন্দ্রকরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বাবার খালা মেহেরা, অমেলা, জাহেরা, মেহেরার মেয়ে নাজমা(৩২), নাজমার মেয়ে প্রেমা, মৃত: আবু হোসেনের ছেলে শওকত আলী(৩৫) ও মেহেরার ছেলে হিমেলরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সর্জিত হয়ে আমার বাবার উপরে অর্তকিত হামলা চালায়ে মার ডাং করতে থাকে। এ সময় বাবা প্রাণে বাঁচতে পাশে দৌড়ে প্রতিবেশী তৈয়ব আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে ঘাতকরা সেখানেই আমার বাবাকে পিছু ধাওয়া করে আটকিয়ে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে অজ্ঞান করে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশিরা আমার বাবাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রæত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কোবাদ এঁর প্রতিবেশিরা জানান, ঘাতকরা মহল্লায় উশৃঙ্খল প্রকৃতির ব্যক্তি। তারা অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি সহ বিরামপুর সার্কেল এএসপি মঞ্জুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ পূর্বক ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিরামপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে ।

CATEGORIES
Share This