বুধবার, ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দর্শক নিয়ে উদ্বেগ সত্ত্বেও এবারের বিশ্বকাপকে‘ দুর্দান্ত’ বলছেন আইসিসি প্রধান

দর্শক নিয়ে উদ্বেগ সত্ত্বেও এবারের বিশ্বকাপকে‘ দুর্দান্ত’ বলছেন আইসিসি প্রধান

পজিটিভ বিডি ২৪ডট নিউজ: প্রাথমিক পর্যায়ে দর্শক উপস্থিতি নিয়ে  উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ভারতে একটি ‘দুর্দান্ত’ বিশ্বকাপ হচ্ছে  আশা করছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে।
এদিকে গত শনিবার আহমেদাবাদের ১,৩২,০০০ ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের বিপক্ষে  আলোচিত ম্যাচে নিজ সমর্থকদের ঘাটতি এবং নিজেদের পক্ষে সমর্থনের অভাবের জন্য আইসিসিকে অভিযুক্ত করেছেন পাকিস্তান কোচ  মিকি আর্থার। দক্ষিন আফ্রিকার ওই কোচ বলেন, খেলাটিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের পরিবর্তে বিসিসিআই’র (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড) একটি ইভেন্টের মতো মনে হয়েছে।
তবে  এএফপি’র এক প্রশ্নের উত্তরে বার্কলে বলেন,‘আমাদের প্রতিটি ইভেন্টে, বিভিন্ন মহল থেকে সবসময়ই সমালোচনা থাকে, সমালোচনার বিষয়গুলো আমরা সংশোধনের চেস্টা করব। এটি নিয়ে কাজ করছি। প্রচেস্টা থাকবে আরো ভালো করার।’
বিশ্ব ক্রিকেটে আর্থিকভাকে সবচেয়ে শক্তিশালী বিসিসিআই। তবে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার তিন মাস আগেও  বিশ্বকাপের ফিক্সচার ঘোষণা করতে না পারায় এবং বিলম্বে সুচি দেয়ায় ইতিমধ্যেই সমালোচিত হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সুচি প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর আবারো সেটির পরিবর্তন আনে টুর্নামেন্টের আয়োজকরা।
অনলাইনে টিকিট বিক্রিতেও ছিল অনিয়ম। অনেক সমর্থক অভিযোগ করেছে অনলাইনে স্বাগতিকদের গুরুত্বপুর্ন ম্যাচগুলোর টিকিট খুব কম ছিল। কৌশলে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তানী সমর্থকদের আগমনকে অনেকটা ঠেকিয়ে রাখা হয়েছিল। কারণ তাদেরকে সীমান্ত পার হয়ে ম্যাচ দেখার জন্য ভারতীয় ভিসা দেয়া হয়নি। ম্যাচের দিন পুরো স্টেডিয়াম নীল সাগরে পরিণত হয় এবং স্বাগতিকরা সাত উইকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায়।
২০২৮ লস এঞ্জেলেস অলিম্পিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর মুম্বাইয়ে বার্কলে বলেন,‘ ইভেন্টটি সবেমাত্র শুরু হয়েছে। দেখা যাক কি হয়। এরপর কি কি পরিবর্তনের প্রয়োজন, বিশ্বকাপের জন্য কোন কোন বিষয়ে উন্নতি দরকার তা নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব।’
আইসিসি প্রধান চলতি বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে বলেন,‘ এটি একটি অসাধারণ বিশ্বকাপ হতে চলেছে এবং এর আয়োজন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।’
আহমেদাবাদে, পাকিস্তান কেবলমাত্র মুষ্টিমেয় কিছু প্রবাসী সমর্থকের সমর্থন পেয়েছিল যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে প্রিয় দলের খেলা দেখতে এসেছিলেন। যে কারণে ম্যাচ শেষে আর্থার বলেছিলেন,‘ নির্মম হলেও সত্যি যে এটিকে আমার আইসিসির কোন ইভেন্ট বলে মনে হয়নি। এটিকে একটি দ্বিপক্ষিয় সিরিজের মতো, বিসিসিআই’র কোন ইভেন্টের মতো মনে হয়েছে।’
উল্লেখ্য ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি ভারত ও পাকিস্তান। নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে এখনো কুটনৈতিক বিরোধ অব্যাহত আছে।

CATEGORIES
Share This

COMMENTS