শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিশেষজ্ঞরা, কৃষকরা সম্পূরক সেচের মাধ্যমে সর্বোত্তম ‘আমন’ উৎপাদন আশা করেন

বিশেষজ্ঞরা, কৃষকরা সম্পূরক সেচের মাধ্যমে সর্বোত্তম ‘আমন’ উৎপাদন আশা করেন

পজিটিভ বিডি ২৪ডট নিউজ (ঢাকা): কৃষক কৃষি বিশেষজ্ঞরা দেশের উত্তর উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশে দেরিতে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারনে সম্পূরক সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্বিতীয় প্রধান ফসল আমন ধানের সর্বোত্তম ফলন আশা করছেন
জুলাইয়ের শেষের দিকে এবং আগস্টের শুরুতে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাতের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত প্রাথমিকভাবে ুটি অঞ্চলের কৃষকদের এই বছরের আমন উৎপাদন সম্পর্কে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি করেছিল, যা ছিল বিশ্বব্যাপী শস্য সরবরাহের চ্যালেঞ্জের কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআরআরআই) মহাপরিচালক . এম শাহজাহান কবির বাসসকে বলেন, “কিন্তু তারা (কৃষকরা) সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা এবং কৃষি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সেচ পাম্প ব্যবহার করে সম্পূরক সেচ ব্যবস্থা যথেষ্ট দ্রুতই বেছে নিতে পেরেছিল
বেশ কিছু এলাকার কৃষকরা জানান, আমন চারাগুলো বড় হয়েছে কারণ, মাটি নরমের জন্যে তারা বৃষ্টিপাতের অপেক্ষা করছিলেন যা মাটির গুণমান কিছুটা কমিয়ে দেয় কিন্তু সম্পূরক সেচ ব্যবহার করে মাটির মান বাড়ানোর প্রেক্ষিতে ফলন বেড়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে
ময়মনসিংহের বাবুতলী গ্রামের এক কৃষক বলেন, ‘কয়েকদিন বৃষ্টির অপেক্ষার পর ১০ কাঠা জমিতে ২০ দিনের বেশি বয়সের আমনের চারা লাগাতে বাধ্য হয়েছিলাম এটি আমার চাষের খরচ বাড়িয়েছে, কিন্তু আমি বেশি ফলনের আশা করছি
ব্রি প্রধান বলেন, প্রাকৃতিক বৃষ্টির পরিবর্তে সেচ পাম্প ব্যবহার করলে আমন উৎপাদন খরচ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি
আবহাওয়া অধিদফতরের রেকর্ড অনুযায়ী বছর দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩৫৫০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে, যদিও বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্ব বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মতো অংশে প্রাকৃতিক বৃষ্টির চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে দুবার
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) কর্মকর্তারা বলেছেন, সারা দেশে এখন পর্যন্ত গড় ৭৭ শতাংশের বেশি বৃক্ষরোপণ সম্পন্ন হয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় ৯৭ শতাংশ চাষ এলাকা কভার করা হয়েছে
ডিএই মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি বছর .৬৫ কোটি টন আমন উৎপাদন হবে
কুষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আগে ২০২৪ সালে .৭১ কোটি টন আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল যেখানে গত বছরের প্রকৃত উৎপাদন ছিল .৬৩ কোটি টন

CATEGORIES
Share This

COMMENTS