মঙ্গলবার, ৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মিয়ানমারের ১৪ জন সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে

মিয়ানমারের ১৪ জন সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে

পজিটিভ বিডি নিউজ ২৪ডট কম (কক্সবাজার): মিয়ানমারের সরকারি সৈন্য ও বিদ্রোহী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে প্রচণ্ড বন্দুকযুদ্ধের খবরের মধ্যে দেশটির আধাসামরিক বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)’র চৌদ্দজন সদস্য গত রাতে তাদের চেক পোস্ট থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
রবিবার কক্সবাজারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিজিপি’র ১৪ সদস্য তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেছে। তারা এখন আমাদের হেফাজতে রয়েছে।’ অপর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘১৪ বিজিপি সদস্য ভোরে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে তাদের অস্ত্রসহ সীমান্ত অতিক্রম করে এবং কক্সবাজারে বিজিবি’র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে।’
এদিকে আজ ঢাকায় বিজিবি’র একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের পরবর্তীতে এই বিষয়ে সর্বশেষ খবর জানতে মিডিয়া ব্রিফিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন।
মিয়ানমারে সরকারি সৈন্য ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা নিরাপদে চলে গেছে। গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি মর্টার শেল এবং গুলি এসে পড়েছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘শনিবার রাতে এরকম দুটি সর্বশেষ ঘটনায় একটি বুলেট একটি ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলারের উইন্ডশিল্ড ভেঙে দেয় এবং ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় একটি গ্রামের বাড়িতে একটি মর্টার শেল আঘাত করে, তবে কেউ হতাহত হয়নি।’ তিনি বলেন, শনিবার রাতে ও রবিবার সীমান্তে বন্দুকযুদ্ধের শব্দ সীমান্তের গ্রামের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করে তোলে।
দেশটির সীমান্তবর্তী রাখাইন অঞ্চলে সক্রিয় বিদ্রোহী আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের ও সরকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের খবরে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে তার সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা নজরদারির নির্দেশ জারি করেছে। মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের ত্রি-বিন্দু থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ২৭১.০ কিলোমিটার (১৬৮.৪ মাইল) সীমান্ত রয়েছে।
বিশেষ করে ২০১৭ সালের সেনাবাহিনীর ক্র্যাকডাউনের পরে, রাখাইনে তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা ১০ লক্ষাধিক মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে দৃশ্যত রোহিঙ্গাদের সাথে বর্তমান সংকটের খুব একটা সম্পর্ক নেই। বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী সংকট মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। তরে রোহিঙ্গারা অর্থনৈতিক, সামাজিক, নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি করায় ঢাকা বারবার রাখাইনে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন চেয়েছে। বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে জাতিসংঘের গণহত্যা তদন্তের বিষয়।

৪৬ Views
CATEGORIES
Share This

COMMENTS