সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হামুনে বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, এক মহিলা নিহত

হামুনে বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, এক মহিলা নিহত

পজিটিভ বিডি ২৪ডট নিউজ (চট্টগ্রাম): ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে গেছে। বসতঘরে গাছ পড়ে এক মহিলার নিহত হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোজাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রামের দু’টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁশাখালী ও সাতকানিয়ায় ঝড়ো হাওয়ায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য উপজেলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি নেই।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ১০০ পরিবারকে গতকাল আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের খাবার দিয়ে আজ সকালে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বাঁশখালীর নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জানিয়ছেন, উপজেলার সরল ইউনিয়নের সরল গ্রামে ঘরে গাছ পড়ে কবির আহমদের ৭০ বছর বয়সী স্ত্রী নিহত হয়েছেন। হামুনের আঘাতে ৪/৫ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আরো কয়েক হাজার গাছপালা উপড়ে পড়েছে। তারে গাছ পড়ে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ এসব গাছপালা সরিয়ে লাইন মেরামতের কাজ করছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত করে দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ৭ নম্বর থেকে নামিয়ে আনা ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেতও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক। বৃষ্টি নেই, হালকা রোদের দেখাও মিলছে। রাতভর হালকা ও মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাতের  পর চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় এখন আবহাওয়া পরিস্থিতি মৌসুম উপয়োগী রয়েছে। আকাশ খানিকটা মেঘলা থাকলেও বিকেলের মধ্যে তা কেটে যেতে পারে। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম আবারও স্বাভাবিক হয়েছে। এলার্ট-৩ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। সকাল থেকে জেটিতে জাহাজ প্রবেশের পাশাপাশি পণ্য ওঠানামাও শুরু হয়েছে। তবে সাগর এখনও উত্তাল থাকায় লাইটার জাহাজ চলাচলে কিছুটা বিঘœ ঘটছে। এ কারণে বর্হিনোঙ্গরে পণ্য ওঠানামা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ‘বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে অবস্থানকারী ২২টি জাহাজকে আবার ফেরত আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৩ টি বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করেছে। অবশিষ্ট ৯টিকে বিকেলের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। বন্দরের সব ধরণের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।’

CATEGORIES
Share This

COMMENTS