শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ব্লিঙ্কেনের দ. কোরিয়া সফরকালে উ. কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ

ব্লিঙ্কেনের দ. কোরিয়া সফরকালে উ. কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ

পজিটিভ বিডি নিউজ ২৪ডট কম: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ কোরিয়া সফরে থাকাকালীন উত্তর কোরিয়া সোমবার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।

তিনি জাপানে যাওয়ার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বৈঠককালে উ. কোরিয়া সোমবার এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।

সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘উত্তর কোরিয়া পূর্ব সাগরের দিকে অজানা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে।’

এটি আরো জানায়, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি যে জলসীমায় পড়েছে তা জাপান সাগর হিসেবে পরিচিত।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাপানি কোস্ট গার্ড পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি সমুদ্রে পড়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এটি ছিল এ বছর পিয়ংইয়ংয়ের প্রথম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ। এর আগে নভেম্বরে দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়।

পিয়ং ইয়ং জানায়, পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল সবচেয়ে উন্নত ও শক্তিশালী সলিড-ফুয়েল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)।

উত্তর কোরিয়াও নভেম্বরের শেষ দিকে দক্ষিণে জিপিএস জ্যামিং অভিযান চালায়। অভিযানটিতে দেশের বেশ ক’টি জাহাজ ও কয়েক ডজন বেসামরিক বিমানকে প্রভাবিত করে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল ৩ ডিসেম্বর একটি স্বল্পকালীন সামরিক আইন ঘোষণা করার পর দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়।

নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর হামলার পর থেকে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া তাদের সামরিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। এটি মার্কিন মিত্রদের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়।

জুন মাসে পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে স্বাক্ষরিত এক প্রতিরক্ষা চুক্তি গত মাসে কার্যকর হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চুক্তিটিকে একটি ‘যুগান্তকারী দলিল’ হিসেবে অভিহিত করে স্বাগত জানিয়েছেন।

চুক্তিটির আওতায় উভয় রাষ্ট্র মিত্র রাষ্ট্রটির ওপর আক্রমণ হলে ‘বিলম্ব না করে’ সামরিক সহায়তা প্রদান করতে ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় আন্তর্জাতিকভাবে সহযোগিতা করতে বাধ্য।

কিমের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জন্য উত্তর কোরিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য  রাশিয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে।

১১৫ Views
CATEGORIES
Share This

COMMENTS