নাসিমুল গনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ মূলত পুলিশ বাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে; সেনাবাহিনী তাদের সাহায্য করছে।
তিনি বলেন, ছয় মাস আগে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেসময় আমাদের পুলিশ বাহিনীর বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের নীতিগত ও মানসিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, থানা পুড়ে গেছে, যে কারণে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ সারাদেশে সেনা মোতায়েন রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, এই অপারেশন যৌথভাবে সকলে মিলে একটা ফোকাসড ওয়েতে কাজ করবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার যে চেষ্টা হচ্ছে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই অপারেশন চলবে। এর জন্য আইনানুগ পদ্ধতিতে যেসকল ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন সেটা নেয়া হবে। তারজন্য সকল বাহিনীকে প্রস্তুত ও ব্রিফিং করা হয়েয়ে। একইসঙ্গে তাদের কাজ চলমান রয়েছে।
নাসিমুল গনি বলেন, ‘আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আগে যেভাবে আইন প্রয়োগ করা হতো আমরা সেভাবে হাঁটতে পারবো না। আইনের স্পিরিট নিয়ে কাজটা করতে হবে। মানবাধিকার এবং পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা একটি ভালো সিস্টেম গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই, যেন আর কোনো আয়নাঘর তৈরি না হয়।’
তিনি বলেন, আগামীর জন্য যেন ভালো পরিবেশ রেখে যেতে পারি, আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এই প্রেক্ষিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটা বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে গেছে। পুলিশে সত্যিকার অর্থে সংস্কার আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা চাই পুলিশ কোমর সোজা করে দাঁড়াক। এজন্য তাদের সক্রিয়ভাবে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।