শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ ৬ ডিসেম্বর বিরামপুর মুক্ত দিবস

আজ ৬ ডিসেম্বর বিরামপুর মুক্ত দিবস

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- দেশ ও স্বাধিকারের টানে আমাদের দামাল ছেলেরা যৌবনের দুরন্ত সময়ে দেশ মাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিঁয়ে পড়ে শএুদের কবল থেকে ৬ডিসেম্বর দিনাজপুর জেলার বিরামপুরকে হানাদার মুক্ত করেন।

ভারতের কালিয়াগঞ্জ তরঙ্গপুর ক্যাম্পে বিরামপুর উপজেলার ২৭৪জন মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নেন। পাক হানাদার বাহিনীর সাথে ৯মাস যুদ্ধ করে ৬জন শহীদ ও ১৫জন গুরুত্বর আহত হন। অবশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাগণ অবশেষে পাকবাহিনীকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে ১৯৭১এর ৬ডিসেম্বর বিরামপুরকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন।

মুক্তিযোদ্ধারা বিরামপুরকে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিরামপুর (হিলি-ঘোড়াঘাট) রেলগেট, কেটরা শালবাগান, ভেলারপাড় ব্রিজ, ডাকবাংলা, পূর্বজগন্নাথপুর মামুনাবাদ বাঙ্কার বসিয়ে সর্তকত অবস্থায় থাকতেন। পাকসেনারা ৪ ডিসেম্বর পাইলট স্কুলের সন্মুখে ও ঘাটপাড় ব্রিজে প্রচন্ড শেলিং করে ভাইগড় গ্রাম দিয়ে তীরমনিতে ৪টি শেল নিক্ষেপ করে। লোম হর্ষক ও সন্মুখ যুদ্ধে কেটরা হাটে মুক্তি যোদ্ধা সহ ৭পাক হানাদার বাহিনী নিহত ও শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা আহত ও পঙ্গগুত্ব বরণ করে।এতে উপজেলার ০৬জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, পঙ্গগুত্ব¡ হন ২জন, যুদ্ধে মারাত্মক ভাবে আহত হন ১৬ জন।

বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের বলেন, ৬ডিসেম্বর দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধ কমপ্লেক্স মুক্তিযোদ্ধা সংসদে মুক্ত আলোচনা, শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।

ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা নুজহাত তাসনীম আহও বলেন, দিবসটি যথাযথ ভাবে পালন করায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। বিরামপুর মুক্তি দিবসে সকল মুক্তিযোদ্ধা, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বর্গকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

১০৭ Views
CATEGORIES
Share This

COMMENTS