সোমবার, ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তা আশা করছে সরকার : সালেহউদ্দিন

বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তা আশা করছে সরকার : সালেহউদ্দিন

পজিটিভ বিডি নিউজ ২৪ডট কম  (ঢাকা): অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ বলেছেন, বাংলাদেশ চলতি বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা আশা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা আশা করছি। এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর আপনারা জানতে পারবেন।’
বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক ম্যাথিউ এ ভার্গিসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ বিভাগে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সালেহউদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাংক দলটিকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য অবিলম্বে বাজেট সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু বিশ্বব্যাংক আমাদের সবচেয়ে বড় বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী। তাই তাদের কাছ থেকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা আকারে আমাদের বিশেষ সহায়তার প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা ইতিবাচক ও খোলা মনে আমাদের এ সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছেন। তাদেরকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে। প্রধানত কিভাবে সংস্কার করা যায় সে ব্যাপারে আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে।’
সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে নতুন করে ২ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে কি-না জানতে চাইলে সহায়তার পরিমাণ প্রকাশ না করে সালেহউদ্দিন বলেন, বিষয়টি পরে চূড়ান্ত করা হবে।
অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, প্রতিটি সহায়তা বাস্তবায়নযোগ্য শর্ত ও পদক্ষেপের সমন্বয়ে হয়ে থাকে। সংস্কারসমূহ বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে, অন্যথায় আমরা সেগুলো সম্পন্ন করতে পারবো না, দাতারাও সহায়তা দিতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেছে যাতে সংস্কার উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নযোগ্য হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এবং এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংককে চারটি শর্ত দিয়েছে।
দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের সংস্কার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করার জন্য বিশেষভাবে এই পরিমাণ ব্যবহার করতে হবে। এ বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা বৈঠক করেন।
সূত্র জানায়, ঋণের ৭৫০ মিলিয়ন ডলার অবশ্যই নীতি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করতে হবে। ডিসেম্বরে এই সহায়তা পাওয়ার আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ ঋণ সুরক্ষিত করার শর্ত হলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নিষ্ক্রিয় (নন-পারফরমিং) ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর জন্য একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা, ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী নির্ধারণের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ফরেনসিক অডিটের সুযোগ নির্ধারণ করা এবং নিয়ন্ত্রণমূলক প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে একটি পৃথক বিভাগ তৈরি করা।

৭০ Views
CATEGORIES
Share This

COMMENTS