রবিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিজিএমইএ নির্বাচনের জন্য নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়নের দাবি

বিজিএমইএ নির্বাচনের জন্য নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়নের দাবি

পজিটিভ বিডি নিউজ ২৪ডট কম  (ঢাকা): তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ২০২৪-২৬ মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করে পুনরায় নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নির্বাচন কেন্দ্রিক জোট ফোরাম প্যানেল।
তাদের অভিযোগ সদ্য প্রকাশিত প্রাথমিক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৪২৯ জনের কর প্রদানের তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার ঢাকা ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ফোরাম প্যানেল লিডার ফয়সাল সামাদ এ দাবি করেন।
আগামী ৯ মার্চ বিজিএমইএ ২০২৪-২৬ মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৮ জানুয়ারি নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল-ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ।
মতবিনিময় সভায় ফোরাম নেতৃবৃন্দ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে বিদেশী ক্রেতাদের পোশাকের মূল্য বাড়ানোর দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশে যেভাবে ক্রেতারা পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করেছে সেই দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশেও অনুসরণ করার অনুরোধ করেন।
ফয়সাল সামাদ জানান, তিনি বিজিএমইএ সভাপতি নির্বাচিত হলে পোশাকের মূল্য বাড়ানো বিশেষ করে ‘প্রাইম মূল্য’ পাওয়ার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন। তিনি মনে করেন আগামী দিনে পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হলো ক্রেতাদের থেকে উপযুক্ত মূল্য আদায় করা। ক্রেতারা যে মানের পোশাক অন্য্যন্য দেশ থেকে নেয় ঠিক একইমানের পোশাক তাঁরা বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করে। কিন্তু বাংলাদেশে একই মূল্য দেয় না। এ বিষয়ে বিজিএমইএকে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখে ক্রেতাদের সাথে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
ফয়সাল সামাদ মনে করেন বৈশ্বিক কোন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পখাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের এই শিল্প এখন অনেক শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। তবে আমাদের দক্ষতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প কারখানার যে ক্যাপাসিটি রয়েছে, তাঁর পুরোটা এখন ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
ফোরাম নেতৃবৃন্দ পোশাক শিল্প থেকে ব্যবসায়ীদের এক্সিট পলিসি প্রণয়ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা বাড়ানো, ক্রেতাদের থেকে যৌক্তিক মূল্য পাওয়া, কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে ক্রেতাদের সম্পৃক্ত করা, বৈশ্বিক পোশাক সরবরাহ কাঠামোর সঙ্গে দেশের রপ্তানিকারকদের ইতিবাচক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, এইচএস কোড এর দ্বৈততা নিরসন, ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়ন ইত্যাদি ইস্যুতে কাজ করার প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন।

৩৯ Views
CATEGORIES
Share This

COMMENTS